মুরাদ হোসেন খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।।যশোরে গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে ১৬ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মাত্র ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এই রেজাল্ট আসে। এদের মধ্যে দুই জন চিকিৎসকও রয়েছেন।
রোববার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যশোর জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী কাল সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যশোর সদরে এক নারীসহ আট জন,কেশবপুরে দুই জন, চৌগাছায় দুই জন,শার্শায় দুই জন, ঝিকরগাছায় এক জন,বাঘারপাড়ায় এক জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ জন। এছাড়া ঝিনাইদহে আট জন, নড়াইলে তিন জন এবং মাগুরায় এক জনের নমুনা পজেটিভ এসেছে।
যবিপ্রবি অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম বলেন, ‘যশোরে করোনা পজেটিভের সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অল্প কয়েকটি পজেটিভ কেস মিলেছে। এখন তার চেয়ে কম নমুনায় বেশি পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। কিন্তু এখনো মহামারী আকার নেয়নি।
এমন অবস্থায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে বলে মত দেন যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে দায়িত্বরত এই শিক্ষক। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট আইইডিসিআর-সহ সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তরা বর্তমানে কোথায় আছেন তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলতে পারবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আমাদেরবাংলাদেশ.কম প্রতিবেদককে জানান, আক্রান্তদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের পাঠানো ইমেইল পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে।
এ ছাড়া তিনি আরোও বলেন সামাজিক দূরত্ব মানতে ব্যর্থ হওয়ায় কমিউনিকেশন ট্রান্সমিশনের কারণে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে শুধু বৃহত্তর যশোরের চার জেলার সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পরীক্ষা করা হবে। এর আগে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার তিন জেলার নমুনাও এখানে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এখন ওই তিন জেলার নমুনা অন্য ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।